শাহরুখ খান ও আইনস্টাইন-এর ঘটনা
শাহরুখ খানকে নিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক একটা ডকুমেন্টারি বানিয়েছিল
গতবছর। ডকুমেন্টারিতে তাঁর জীবনের চমৎকার সব মুহূর্ত দেখা গেলো। কিন্তু
আমার কাছে ভালো লেগেছিল দুটো দৃশ্য। একটা হচ্ছে- তাঁর ক্রিকেট দল কলকাতা
নাইট রাইডার্সের সভা চলছে, তিনি সভায় ঢুকে দেখলেন কোনো আসন খালি নেই। টুক
করে তিনি বসে পড়লেন মেঝেতে। একজন তরুণ ক্রিকেটার আসন থেকে উঠে তাঁকে জায়গা
করে দিলো। তিনি সেই তরুণকে তাঁর জায়গায় বসিয়ে দিলেন এবং নিজে আবারো মেঝেতেই
বসলেন।
পরে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলো- আপনি মেঝেতে কেন বসেছিলেন? তিনি মধুর হেসে জানালেন- ওটা ক্রিকেটারদের মিটিং ছিল, ফিল্মস্টারদের নয়! ক্রিকেটের তো কিছুই জানিনা, কাজেই ওই ঘরে ঢোকার পর আমি কোনো স্টার না, নিতান্ত সাধারণ একজন!
আইনস্টাইনকে ১৯৫২ সালে ইসরায়েল সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল দেশটির রাষ্ট্রপতি হতে। তিনি সবিনয়ে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ইসরায়েল সরকারকে বলেছিলেন- আমি ফিজিক্স একটু আধটু বুঝি, রাষ্ট্র পরিচালনার কিছুই বুঝিনা! কাজেই দেশের প্রেসিডেন্ট কেন, দেশটা আমার নামে লিখে দিলেও আমি অপারগ!
এই মানুষগুলোর কথা কেন বলছি জানেন?
কারণ- কোনো কারণে একটু অহংকার টহংকার হওয়া শুরু হলে আমি এই মানুষগুলির জীবন ঘাঁটাঘাঁটি করি। এই মানুষগুলির বিনয় দেখি। বিনয় মানে এই নয় যে নিজেকে ছোটো করে ফেলতে হবে। বিনয় মানে এই যে, নিজের যা অক্ষমতা সেটা সরল করে বলে দেওয়া হবে।
নিজের অক্ষমতার কথা সরলভাবে প্রকাশ করা আর ছোটো হয়ে যাওয়া এক নয়। কারণ এই ছোটো হয়ে যাওয়া মানে আসলে অনেক বড় হয়ে যাওয়া। কারণ- আমরা ততবার ছোটো হয়ে যাই, যতবার আমরা অজ্ঞ হয়েও বিজ্ঞ সাজার চেষ্টা করি! সত্যিকারের বড় হওয়া মানে আসলে ছোটো থেকে ছোটো হওয়া!
পরে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হলো- আপনি মেঝেতে কেন বসেছিলেন? তিনি মধুর হেসে জানালেন- ওটা ক্রিকেটারদের মিটিং ছিল, ফিল্মস্টারদের নয়! ক্রিকেটের তো কিছুই জানিনা, কাজেই ওই ঘরে ঢোকার পর আমি কোনো স্টার না, নিতান্ত সাধারণ একজন!
আইনস্টাইনকে ১৯৫২ সালে ইসরায়েল সরকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল দেশটির রাষ্ট্রপতি হতে। তিনি সবিনয়ে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ইসরায়েল সরকারকে বলেছিলেন- আমি ফিজিক্স একটু আধটু বুঝি, রাষ্ট্র পরিচালনার কিছুই বুঝিনা! কাজেই দেশের প্রেসিডেন্ট কেন, দেশটা আমার নামে লিখে দিলেও আমি অপারগ!
এই মানুষগুলোর কথা কেন বলছি জানেন?
কারণ- কোনো কারণে একটু অহংকার টহংকার হওয়া শুরু হলে আমি এই মানুষগুলির জীবন ঘাঁটাঘাঁটি করি। এই মানুষগুলির বিনয় দেখি। বিনয় মানে এই নয় যে নিজেকে ছোটো করে ফেলতে হবে। বিনয় মানে এই যে, নিজের যা অক্ষমতা সেটা সরল করে বলে দেওয়া হবে।
নিজের অক্ষমতার কথা সরলভাবে প্রকাশ করা আর ছোটো হয়ে যাওয়া এক নয়। কারণ এই ছোটো হয়ে যাওয়া মানে আসলে অনেক বড় হয়ে যাওয়া। কারণ- আমরা ততবার ছোটো হয়ে যাই, যতবার আমরা অজ্ঞ হয়েও বিজ্ঞ সাজার চেষ্টা করি! সত্যিকারের বড় হওয়া মানে আসলে ছোটো থেকে ছোটো হওয়া!
Collected
No comments