বাংলাদেশের সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে ভারত
অগভীর সমুদ্রে দুটি ব্লকে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য প্রথমবারের মত ভারতের একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।
এসব ব্লকে যদি গ্যাস বা তেল পাওয়া যায় তাহলে উত্তোলিত গ্যাস পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রি করবে কোম্পানিটি।তবে এক্ষেত্রে পেট্রোবাংলা যদি ৬ মাসের মধ্যে গ্যাস কিনতে না পারে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মধ্যে অন্য কোম্পানির কাছে তারা গ্যাস বিক্রি করতে পারবে।
মডেল পিএসসি বা উৎপাদন বণ্টন চুক্তির আওতায় অগভীর সমুদ্রের ব্লকে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য দরপত্র আহবান করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা।
গতবছরের এপ্রিলে এই দরপত্র আহবানের পর যাচাই বাছাইয়ের শেষে ভারতের অয়েল এন্ড ন্যাচরাল গ্যাস কর্পোরেশন বা ওএনজিসির সাথে আজ এই চুক্তি সই করলো পেট্রোবাংলা।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান হোসেন মনসুর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন ওএনজিসি তাদের কাজের সাফল্যের ধারাবাহিকতা বাংলাদেশেও অব্যাহত রাখবে বলে তারা আশা করছেন।
তিনি বলেছেন, “এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, প্রথম বারের মত ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোন কোম্পানির সাথে আমরা এই চুক্তি করছি। তারা অগভীর সমুদ্রে দুটি ব্লকে গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজ করবে। আমরা আশা করছি তারা এ ধরনের কাজে এর আগে যে সফলতা দেখিয়েছে সেটা ধরে রাখবে”
বঙ্গোপসাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের কনকো ফিলিপস সহ আরো কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করার উদ্যোগ নিলেও এবারই প্রথম ভারতের সাথে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ।
ব্লক নম্বর ৪ ও ব্লক ৯ এ মোট ৮ বছরে এই তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলবে।
চুক্তির আওতায় ১৪ হাজার ২শ ৯৫ বর্গকিলোমিটার এলাকায় দ্বিমাত্রিক সাইসমিক সার্ভে ও দুটি কুপ খনন করা হবে।
ওএনজিসি-র সিইও ডিকে শারাফ বলেন তারা বিভিন্ন দেশের সাথে কাজ করছেন এবং ২০১৩ সালে দরপত্র আহবান করার পর তারা বাংলাদেশের সাথেও কাজ করতে আগ্রহী হন।
তিনি বলেন, “২০১৩ সালের ২রা এপ্রিল দরপত্র ডাকার পর আমরা আবেদন করি। আমাদের বিভিন্ন ধরনের পার্টনার বা অংশীদার রয়েছে। চীন, তুরস্ক, ভেনেজুয়েলা, আজারবাইজান, মায়ানমারের সাথে কাজ করেছি। প্রত্যেকটা দেশই আমাদের কাজে সন্তুষ্ট। আশা করছি বাংলাদেশেও আমরা ভাল কাজ করতে পারবো”
এসব ব্লকে যদি গ্যাস বা তেল পাওয়া যায় তাহলে উত্তোলিত গ্যাস পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রি করবে কোম্পানিটি।
তবে এক্ষেত্রে পেট্রোবাংলা যদি ৬ মাসের মধ্যে গ্যাস কিনতে না পারে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মধ্যে অন্য কোম্পানির কাছে তারা গ্যাস বিক্রি করতে পারবে।
ব্লক ৪ এ- ৩২ থেকে ৩২০ ফুট গভীরতায় ও ব্লক – ৩২০ থেকে ৯৬০ ফুট গভীরতায় এই অনুসন্ধানের কাজ চলবে।
উৎপাদিত গ্যাসের লভ্যাংশ থেকে পেট্রোবাংলা পাবে ৬০ থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ।
আর তেলের ক্ষেত্রে পাবে ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ।
তবে এই সময়ের মধ্যে কোন কারণে পেট্রোবাংলা অনুসন্ধানের কাজ স্থগিত করলে ওএনজিসি কোন ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবে না বলে চুক্তিতে বলা হয়।
No comments