সক্ষমতা দ্বিগুণ হচ্ছে কর্ণফুলী গ্যাসের
কর্ণফুলী গ্যাসের পদস্থ কর্মকর্তারা বলেছেন, চট্টগ্রাম ও সন্নিহিত অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান কেজিডিসিএল আওতায় ছয় লাখেরও বেশি গ্রাহক রয়েছে। এরমধ্যে শুধু আবাসিক গ্রাহক রয়েছে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৩জন। শিল্প গ্রাহক রয়েছে ১ হাজার ৫৫জন। চট্টগ্রামের আবাসিক ও শিল্পখাতে গড়ে ৪৫০মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে।
দৈনিক পাঁচশ’ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ দেয়ার জন্য মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত ৯২ কিলোমিটার ৩০ ইঞ্চি এবং আনোয়ারা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের ৩০ কিলোমিটার পাইপ লাইন নির্মাণ করা হয়। কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে এ লাইন আনোয়ারা হয়ে ফৌজদারহাট সিজিএসকে সংযুক্ত করেছে। ইতোমধ্যে এলএনজি প্রবাহ শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামে এলএনজি সরবরাহ দেয়ার সাথে সাথে সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চল থেকে চট্টগ্রামে গ্যাসের যোগান কমিয়ে দেয়া হয়। চট্টগ্রাম থেকে সাশ্রয় হওয়া সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলের গ্যাস পাঠানো হয় ঢাকা অঞ্চলে। এলএনজি সরবরাহ বাড়ার সাথে সাথে চট্টগ্রামে গ্যাসের সংকট কমে আসতে শুরু করে।
চট্টগ্রামে গ্যাসের যোগান বাড়লেও ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের কারণে গ্যাস সরবরাহে সংকট তৈরি হয়। কর্ণফুলী গ্যাসের সরবরাহ নেটওয়ার্ক ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের উপযোগী। এতে গ্যাসের যোগান বাড়লেও নেটওয়ার্ক সিস্টেম উন্নত না হওয়ায় তা খুব বেশি কাজে লাগেনি। কর্ণফুলী গ্যাস চট্টগ্রামে গ্যাসের প্রবাহ ৩৫০ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। নগরীর ৭টি ডিআরএস এর সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ শুরু করা হয়। এছাড়া নগরীর গ্যাস সরবরাহ লাইনের ১৫০ পিএসআই চাপের ১০ ইঞ্চি ব্যাসের ১৬ কিলোমিটার ডিস্ট্রিবিউশন পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে। কালুরঘাট ডিআরএস থেকে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত ৩৫০ পিএসআই চাপের ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের আড়াই কিলোমিটার সঞ্চালন পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাতে বাড়তি গ্যাস প্রবাহ নিশ্চিত করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখন শেষ পর্যায়ে। গ্যাস প্রবাহ বাড়ানোর জন্য নাছিরাবাদ, কালুরঘাট, ইপিজেড, পতেঙ্গা, আন্দরকিল্লা, বাকলিয়া ও টাইগারপাসস্থ সাতটি ডিআরএস এর বর্তমান সক্ষমতা ১৫-২৫ মিলিয়ন ঘনফুট থেকে ৫০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করা হচ্ছে।
কর্ণফুলী গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার খায়ের আহমদ মজুমদার বলেছেন, আমাদের গ্যাসের যোগান বেড়েছে। প্রয়োজনে আরো বাড়বে। কিন্তু এই যোগান অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ দেয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের ছিল না। তাই সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের এই উদ্যোগের ফলে আবাসিক এবং শিল্প গ্রাহকসহ সব ধরণের গ্রাহকই উপকৃত হবে। তাই দ্রুততার সাথে গ্যাসের যোগান ও সরবরাহ বাড়ানোর মতো সক্ষমতা অর্জন করতে হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে এই সক্ষমতা অর্জন করবো।
তিনি বলেন, এখন চাইলে আমরা দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ দিতে পারবো। তিনি বলেন, এতদিন আমাদের গ্যাস ছিল না। তাই বিষয়টিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এখন আমাদের এলএনজি চলে এসেছে। মীরসরাই ইকোনমিক জোনে উৎপাদন শুরু হলে এই সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে।
Main Article:
No comments