Header Ads

Header ADS

Recent Accidents & Corporatocracy

“আরবান ল্যান্ড রিডেভেলপমেন্ট” প্রকল্প, অর্থাৎ পুরান ঢাকার বাড়িঘরগুলো ভেঙ্গে আবার নতুন করে গুলশান-বনানীর মত করে পরিকল্পিত এলাকা তৈরী করা।

“ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায় প্রসাধনী সামগ্রী মজুদ ছাড়াও খালি ক্যানে পারফিউম, এয়ার ফ্রেশনার রিফিল করা হতো। এগুলো উদ্বায়ী ও দাহ্য পদার্থ। পারফিউমের অন্যতম উপাদান ইথানলের ফ্ল্যাশ পয়েন্ট ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এয়ার ফ্রেশনারের ক্যানে প্রোপিল্যান্ট (Propellant) হিসেবে এলপিজি ব্যবহৃত হয়। বাতাসে এয়ার ফ্রেশনারের ঘনত্ব আনুমানিক শতকরা একভাগ হলেই তা দাহ্যতার নিম্নসীমা অতিক্রম করে এবং স্ফুলিঙ্গের উপস্থিতিতে আগুন ধরে বিস্ফোরণ হতে পারে। এলপিজি সাধারণত নিচু ও বন্ধ জায়গায় জমা হয়। জমাটবাধা এলপিজি অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে এবং স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে আসামাত্র ফ্ল্যাস ব্যাকের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।”

রিপোর্টে প্রথম যে বিষ্ফোরণ হলো, সেটার জন্য দায়ী করা হচ্ছে, এলপিজি গ্যাসকে, যা যে কোন পারফিউমের বোতলে ‘প্রোটিল্যান্ট’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন ভালোভাবে খেয়াল করুন, সেখানে স্পষ্ট বলা হচ্ছে, “এলপিজি সাধারণত নিচু ও বন্ধ জায়গায় জমা হয়। জমাটবাধা এলপিজি অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে এবং স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে আসামাত্র ফ্ল্যাস ব্যাকের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।”

এলপিজি বলতে এখানে বুঝাচ্ছে বিউটেন’কে। আমরা বাসাবাড়িতে যে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছি, এটাও কিন্তু এলপিজি বা বিউটেন। সরকারীভাবে যে প্রাকৃতিক গ্যাস লাইনে আসে, সেটা হলো মিথেন গ্যাস। মিথেন গ্যাস তুলনামূলক হালকা, এটা সামান্য একটু জানলা খোলা পেলেই উড়ে যায়। কিন্তু বিউটেন গ্যাস তুলনামূলক ভারি। আমরা বাসাবাড়িতে যে সিলিন্ডার ব্যবহার করছি, সেটা যদি কোন কারণে লিক হয়ে যায়, অথবা কেউ অসাবধানতাবশত গ্যাসের চুলায় গ্যাস ছেড়ে দেয় তবে তা উড়ে না গিয়ে জানালা দিয়ে বের না হয়ে ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে জমা হতে থাকে। ফলে সেই গ্যাস জমে থাকার মধ্যে কেউ যদি ম্যাচের কাঠি জ্বালায় তবে পুরো ঘরের মধ্যে বিষ্ফোরণ ঘটবে, যেটা ঘটেছে ওয়াহিদ ম্যানসনের দুইতলায়।

আপনারা জানেন, ব্রিটিশরা যখন এ অঞ্চলে আসলো তখন তারা প্রথমে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করে এ অঞ্চলের ধনী মুসলমানদের থেকে সম্পত্তিগুলো কেড়ে নিয়েছিলো। কারণ তারা জানতো, সমাজে যদি ‘ধনী’ শ্রেণীর অস্তিত্ব থাকে, তবে সেই সমাজে প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব না। ঠিক একইভাবে এ অঞ্চলে ক্ষমতা পুরোপুরি হাতে নিতে সম্রাজ্যবাদী কর্পোরেটরাও একই উপায়ে এ অঞ্চলের ধনী তথা ধনী ব্যবসায়ীদের ফেলে দিতে চায়। (শুধু টিকে থাকবে গুটি কয়েক, যারা তাদের আজ্ঞাবহ ও গোলাম হয়ে থাকবে, যেভাবে ব্রিটিশ আমলে হিন্দু জমিদাররা ছিলো)। 

খুব শিঘ্রই বাংলাদেশে কর্পোরেটোক্রেসি’র বড় রূপ আসতেছে। দেশের শিল্প-বাণিজ্য ধ্বংস হবে, বিদেশী কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর আগমণ হবে, তাদের সুবিধার জন্য আগে থেকেই জনগণের টাকায় বড় বড় আবকাঠামো নির্মাণ হবে, ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে জনগণের জীবন ব্যয় বেড়ে যাবে, বাড়িভাড়া আর খাবার খরচ যোগাতে ঘরের বাবা-মা-ভাই-বোন সবাই বিদেশী কর্পোরেট কোম্পানিতে নামমাত্রমূল্যে দাস হবে। একটা জাতিকে চিরস্থায়ী দাসে পরিণত করতে যে প্ল্যান তাকেই বলে ‘কর্পোরেটোক্রেসি’, যার মূল প্ল্যান ইহুদীবাদী কর্পোরেটদের, আর ফিল্ডে বাস্তবায়ন করে ঐ দেশের সরকার।

 

No comments

Powered by Blogger.