দ্রৌপদী
দ্রৌপদী মহাভারতের অন্যতম নারী-চরিত্র। তিনি দ্রুপদরাজের কন্যা। স্বয়ংবর
সভায় অর্জুন তাকে লাভ করে নিজগৃহে নিয়ে গেলে মা কুন্তি তা পাঁচ ভাইকে ভাগ
করে নিতে বলেন। সে-পরিপ্রেক্ষিতে কুন্তিপুত্র পাঁচ পা-বকেই তিনি স্বামী
হিসেবে বরণ করেন। দ্রৌপদীকে বলা হয় মহাভারতের চিরঅপমানিত নারী। পঞ্চস্বামী
যেমন নারীত্বের অপমানগাথা, তেমনি জীবনের পদে পদে তাকে লাঞ্ছনাই সহ্য করতে
হয়েছে। যুধিষ্ঠীর বাজিতে হেরে যাওয়ায় দুর্যোধনের রাজসভায় দ্রৌপদীর
বস্ত্রহরণ ও ঊরুতে বসার মতো অপমানের সম্মুখীন হতে হয়েছে। শুধু তাই নয়,
জয়দ্রথ, কীচকসহ নানা অসুরের প্রতিকূলতায় তাঁকে টিকে থাকতে হয়েছে। কিন্তু
পতিপ্রাণা এ-দ্রৌপদী চিরকালই ছিলেন স্বামী-অনুরক্তা। দীর্ঘদিনের বনবাস ও
অজ্ঞাতবাসেও স্বামীদের পাশে ছিলেন নিশ্চল সেবাপরায়ণী, মায়াময়ী এক
নারীমূর্তিরূপেই।
দ্রৌপদীকে নিয়ে যুগে যুগে, কালে কালে নানা প্রশ্ন আলোড়িত করেছে মানুষকে।
কখনো তা করুণাত্মক, কখনো অনুসন্ধিৎসু, কখনো নতুন দৃষ্টিভঙ্গির। মাইকেল
মধুসূদন দত্তের বীরাঙ্গনা কাব্যে দ্রৌপদী অর্জুনকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ
করেছে।
No comments